আরজি কর নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- By Jamini Roy --
- 20 January, 2025
কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়কে সোমবার (২০ জানুয়ারি) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত এ দণ্ড দেন। আদালত সঞ্জয় রায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আদালতে হাজির করেছিল। এই মামলার বিচারের সময় সঞ্জয় রায় তার নির্দোষ দাবি করে আদালতে বক্তব্য রাখেন এবং বলেন, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং জোর করে নথিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৯ আগস্ট, কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুমে ওই নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩৩ বছর বয়সী সঞ্জয় রায়কে প্রথমে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছিল, পরে সিবিআই দায়িত্ব নেয়। সিবিআই এই ঘটনায় সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিল। তবে বিচারক আদালতে জানান, ১৮ জানুয়ারি সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, এবং সোমবার তার সাজা ঘোষণা করা হয়। সাজা ঘোষণার আগে সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শোনেন বিচারক অনির্বাণ দাস।
ঘটনার পর পরই পুরো ভারত জুড়ে চিকিৎসকরা নারী কর্মীদের নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করার দাবিতে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। কয়েক দফায় তারা কর্মবিরতি পালন করেন। ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয় রায়কে ৯ আগস্ট ভোর ৪টা ৩ মিনিটে সেমিনার রুমে প্রবেশ করতে দেখা যায় এবং প্রায় আধা ঘণ্টা পর তিনি রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এদিকে, নিহত চিকিৎসকের পরিবার প্রথমে পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারে যে, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরিবারের তীব্র প্রতিবাদের পর পুলিশ খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করে এবং এই ঘটনাটি নিয়ে পুরো ভারতব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।